বিতিরের নামাযে দোয়ায়ে কুনুতের ব্যাপারে সন্দেহ হলে
Md.Ishaq Shahid 26 March 2020 565 Last Updated : 02:10 PM 26 March 2020
প্রশ্ন: ০৫/১৪৪০,২০১৯
আমার মনে হচ্ছে যে, বিতিরের নামাযের দোয়ায়ে কুনুত পড়িনি। তাই সহু সিজদা দিয়েছি। এতে আমার নামাজ সহী হয়েছে কী?
নিবেদক
হাফেজ আব্দুর রহমান
কুমিল্লা
উত্তর: ০৫/১৪৪০,২০১৯
কুরআন হাদীস ও ফিকহের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহ অধ্যয়নের একথা প্রতীয়মান হয় যে, যদি নামাযে সন্দেহ হওয়া অভ্যাসে পরিণত না হয় তবে নামাজ পুনরায় পড়ে নিবেন। আর যদি সন্দেহ অভ্যাসে পরিণত হয় তবে তাহাররী তথা চিন্তা-ফিকির করবেন। চিন্তা ফিকির করার পর যেদিকে প্রবল ধারণা হবে সে অনুযায়ী আমল করবেন। অতএব যদি প্রবল ধারণা হয় দোয়ায়ে কুনুত পড়েননি তবে আপনার সাহু সিজদা দেওয়া সহী হয়েছে, এবং নামাজও সহী হয়েছে। আর যদি প্রবল ধারণা হয়ে পড়েছেন তবে আপনার সাহু সিজদা দেওয়া অনর্থক হয়েছে এবং নামাজ মাকরুহে তানজিহীর সহিত আদায় হয়েছে। আর যদি প্রবল ধরোন কোন দিকে না হয় তবে দোয়ায়ে কুনুত পড়েননি হিসাবে ধরে নিবেন। অতএব এমতবস্থায় আপনার সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ শেষ করা সহী হয়েছে।
বি.দ্র.
(১) অগ্রাধিকার মত অনুযায়ী অভ্যাসে পরিণত হওয়ার অর্থ হল বছরে একাধিকবার সন্দেহ সংঘটিত হওয়া।
(২) কোন ওয়াজিব বা রোকনে নিশ্চুপ চিন্তা-ফিকির করার কারণে যদি ওয়াজিব বা রোকন আদায়ে তিন তাসবীহ পরিমাণ দেরি হয় তামিল সাহু সেজদা দিতে হবে। অন্যথায় নামাজ মাকরূহে তাহরীমীর সহিত আদায় হবে। অতএব তা পুনরায় পড়তে হবে।
উপরে বর্ণিত হুকুম হলো যদি শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পরিমাণ বসার পুর্বে সন্দেহ হয়। আর যদি তাশাহহুদ পরিমাণ বসার পরে সন্দেহ হয় তবে দোয়ায়ে কুনুত পড়েছেন বলে ধরে নিবেন, সাহু সিজদা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
10/02/2019
০৪/০৬/১৪৪০
Last Updated : 02:10 PM 26 March 2020